যমুনা বিধৌত সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার বিস্তীর্ণ চর ভরে উঠেছে সবুজ সবজি ক্ষেতে। চর জুড়ে এখন বেগুন, মুলা, পালংশাক, সীম, মিষ্টি কুমড়া, শসা, লাউ, টমেটো, লাল শাক, বরবটি ও শসাসহ নানা ফসলের সমারোহ।
সবজি ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকরা। এবছর ব্যাপক বন্যার পরও শীতকালীন আগাম সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন চরাঞ্চলের কৃষকরা।
সবজি গ্রাম নামে খ্যাত উপজেলার ধুপুলিয়া চর, বাউশা চর উমারপুর ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ চরভূমি ভরে উঠেছে সবুজ সবজিতে। মিনিদিয়া চরের কৃষক সামাদ মিয়া, ধুপুলিয়া গ্রামের মকছেদ আলী, সুলতান মিয়া, বাউশা গ্রামের আলিম ও সবুজ বলেন, এবার শীতকালীন সবজির দাম অনেক বেশি।
তাই বন্যায় যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে সবজির দাম বেশি হওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা কমানো সম্ভব হবে। এবার ব্যাপক বন্যা হওয়াতে ক্ষেতে পলি মাটি পড়াতে ক্ষেতের উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় সবজি ক্ষেতে সার অনেক কম দিতে হয়েছে এবং সার ছাড়াই সবজির ফলন অনেক ভালো হয়েছে।
গত তিন বছরের মতো এবারও অনেকটা আগে ভাগেই শীতকালীন সবজি চাষ শুরু করেন চরাঞ্চলের কৃষকরা। বাজারে আগাম জাতের শীতকালীন সবজির ভালো দাম থাকায় সবজি বিক্রি করে লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা। প্রতি বিঘা জমিতে মাত্র ৮-১০ হাজার টাকা খরচ করে লক্ষাধিক টাকার সবজি বিক্রি করছেন চাষিরা।
চৌহালী উপজেলা অতি. কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ সাব্বির আহমেদ সিফাত বলেন, এবছর উপজেলায় সামান্য বন্যা হওয়ায় কৃষকরা বন্যার পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে আগাম সবজি চাষ করে ভালো ফলন পাচ্ছে। আর সঠিক সময়ে উপজেলায় কৃষক পর্যায়ে সার এবং বীজের সন্তোষজনক সরবরাহ থাকায় কৃষি কাজে লাভজনক হচ্ছে চরাঞ্চলের কৃষকেরা।
এ বছর বাজার ভালো থাকায় উৎপাদিত সবজি বিক্রি করে ভালো দাম পাচ্ছে তারা। এ উপজেলায় ৭০ হে. শাকসবজির চাষ হয়েছে। আগাম করে পুশিয়ে নিচ্ছে। লাউ, সিম, বরবটি, মুলা, কচু, লালশাক, পালংশাক প্রভৃতি।
টিএইচ